জ্যাসিড (অ্যামরাস্কা ডেভাসটাস)
চেনার উপায়
পূর্ণাঙ্গ : খুব ছোট , প্রায় ৩ মিলিমিটার লম্বা , সবজে হলুদ রঙের।
ক্ষতির লক্ষণ
অপূর্ণাঙ্গ ও পূর্ণাঙ্গ উভয়েই পাতা ও কাণ্ডের থেকে রস চুষে খেয়ে নেয়।
আক্রান্ত গাছের পাতা উপরের দিকে কুঁকড়িয়ে যায় ও হলদে হয়ে যায়।
কোনো কোনো ক্ষেত্রে পাতায় পোড়া পোড়া দাগও দেখতে পাওয়া যায়।
প্রতিকার ব্যবস্থা
পরিচর্যা
সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ করা দরকার। অধিক মাত্রায় নাইট্রোজেন সারে এই পোকার আক্রমণের তীব্রতা বেশি হয়।
যান্ত্রিক
সবুজ রঙের আঁঠালো বোর্ড লাগালে পূর্ণাঙ্গ পোকা আকৃষ্ট হয়ে থাকে।
জৈবিক
পরজীবি ও বন্ধুপোকা হিসাবে কক্কিনেলয়েড , জিওক্রসিস ট্রাইকালার , অ্যাথোকোরিস স্পেসিস, কিছু প্রজাতির ম্যানটিডস বা ভারটিসিলাম লেক্যামি প্রভৃতি @ ০.৫ কেজি বা ০.২৫ লিটার / ২০০ লিটার জলে গুলে একর প্রতি প্রয়োগ করা যেতে পারে।
অ্যাজাডাইরেকটিন ১০০০০ পি পি এম @ ৩ মিলি/লিটার জলে গুলে স্প্রে করা যেতে পারে।
রাসায়নিক
থায়োমেথক্সাম ২৫ % ডবলু .জি @ ১ গ্রাম /৫ লিটার বা
অ্যাসিফেট ৭৫% ডবলু. পি. @ ০.৭৫ গ্রাম /লিটার বা
ইমিডাক্লোপ্রিড ১৭.৮ % এস. এল @ ১ মিলি/ ৫ লিটার বা
অ্যাসিটামিপ্রিড ২০ % এস. এল @ ১গ্রাম/৫ লিটার জলে গুলে স্প্রে করার সুপারিশ করা যেতে পারে।