Visitor count: 27335

ধানের শ্যামা পোকা

Posted by BTM   On 11-10-19

ধানের  শ্যামা পোকা (নিফোটেটিক্স ভাইরিসেন্স)

চেনার উপায়
গায়ের রঙ উজ্জ্বল সবুজ এবং ডানায় কালো রঙের বিন্দু থাকে।
ডানার শেষাংশ কালো রঙের হয়।

ক্ষতির লক্ষণ
​গাছের গোড়া থেকে রস শোষনের ফলে পাতাগুলি হলদে হয়ে ঝলসে যায়।
রস চোষার সময় এরা টুংরো রোগের ভাইরাস গাছের মধ্যে ঢুকিয়ে দেয়।
এভাবে এরা আক্রান্ত গাছ থেকে সুস্থ সবল গাছে টুংরো রোগ ছড়ায়। 

প্রতিকার ব্যবস্থা
পরিচর্যা
চারা বপনের সময় ২০X১৫ সেমি দূরত্ত্বে চারা বসলে পোকার আক্রমন কমানো যেতে পারে।
প্রতিরোধী জাত যেমন, আই আর-৩৬, রসি, ললাট ইত্যাদি চাষ করতে হবে।
উপদ্রুত এলাকায় ধান রোয়ার সময় প্রতি ১০ টি সারির পর ১ টি করে সারি ছেড়ে দিতে হবে যাতে গাছের গোড়া পর্যন্ত ঠিকমতো আলো-বাতাস পৌঁছাতে পারে।
জমি কিছু দিন অন্তর পর্যায়ক্রমে ভেজা ও শুকনো রাখা দরকার।
 
যান্ত্রিক
একর প্রতি ১-২ টি আলোক ফাঁদ ব্যাবহার করে পূর্ণাঙ্গ পোকাকে আকৃষ্ট করে মেরে ফেলা ফেলতে হবে।
ফেরোমন ফাঁদ @ ৪-৫ /একরে দেওয়া যেতে পারে।

জৈবিক
জমির জৈব নিয়ন্ত্রকগুলিকে সংরক্ষণ করার জন্য রাসায়নিক ব্যাবহার বন্ধ করতে হবে।
কিরটোরাইনাস লিভিডিপেনিস @ ১০০ টি পূর্নাঙ্গ বা ৫০-৭৫ টি নিম্ফ প্রতি বর্গ মিটারে ছাড়া যেতে পারে।

রাসায়নিক
ফোসালোন ৩৫ % ই.সি. @ ২ মিলি/লিটার বা
কার্বোসালফুরান ২৫% ই সি @ @ ২ মিলি /লিটার বা
ফিপ্রোনিল ৫ % এস. সি @ ১ মিলি /লিটার বা
অ্যাসিফেট ৭৫% ডবলু পি. @ ০.৭৫ গ্রাম /লিটার বা
ট্রায়জোফস ৪০ % ই. সি. @ ১ মিলি /লিটার জলে গুলে স্প্রে করার সুপারিশ করা হয়।
এছাড়াও জমিতে ক্লোরপাইরিফস  ১.৫ % ডি পি @ ১০ কেজি /একর প্রয়োগ করা যেতে পারে।

Related Posts: